রাণীনগরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা; মোটরসাইকেল ভাংচুর

রাণীনগরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উপর হামলা; মোটরসাইকেল ভাংচুর

নওগাঁ প্রতিনিধি:

আগামী ১১নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে নওগাঁর রাণীনগরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বর্তমানে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত পদের প্রার্থীরা পুরোদমে চালিয়ে আসছেন তাদের নির্বাচনী প্রচারনার কাজ। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছোট-ছোট সহিংসতা ঘটলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার একডালা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিনের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিন আদাদপুকুর চারমাথায় আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী সমর্থিত ও তার দলীয় লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিনের নির্বাচন অফিসে অর্তকিত হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এসময় হামলাকারীরা অফিসের সামনে থাকা ১৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর এবং রুহুল সমর্থিত ১৫থেকে ২০জন নেতাকর্মীকে মারপিট করে। গুরুত্বর আহতদের মধ্যে দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে ওই স্থানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপরদিকে কঠোর অবস্থানে থাকা রাণীনগর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আবাদুপুকর ও ওই ইউনিয়নে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।

এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে দেখা বাংলাদেশে বসবাস করছি। দেশ যেমন স্বাধীন তেমনি ভাবে এই দেশে স্থানীয় নির্বাচন করার অধিকারও সবার আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে সেই প্রার্থী ইউনিয়নবাসীর পছন্দ নয়। তাই আমি সাধারন মানুষদের সমর্থনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এটাই কি আমার অপরাধ। নির্বাচনের শুরু থেকেই আমার উপর বিভিন্ন হুমকি-ধামকী প্রদান অব্যাহত থাকলেও শেষ পর্যন্ত আমার এবং আমার লোকজনের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করা হলো। আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি। আশা রাখি আমি সঠিক বিচারটি পাবো।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন আকন্দ জানান, আমি ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একটি সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে পুলিশ বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযোগ পেলেই নির্বাচনী সহিংসতা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িতদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না সে যে দলেরই লোক হোক না কেন। আবাদুপুকুরের নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, বিষয়টি আমি জানার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদেরকে  দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন